মনিরুজ্জামান মিঞা

বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী– প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা ১৯৩৫ সালের ১ মে তৎকালীন মালদহ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের কিছু অংশ) জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড.মনিরুজ্জামান মিঞা ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থাকালীন ড.মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও সিনেট-সিন্ডিকেটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন।
প্রখ্যাত কূটনীতিক প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে সেনেগালে রাষ্ট্র্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান ও তিন বছর পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক দায়িত্বে পালন করেন। তিনি ২০০৪ সালে গঠিত ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের’ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থাকালীন ড.মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে পানি সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গবেষণাকার্যে লিপ্ত ছিলেন। এছাড়া, নদী-রুপ বিজ্ঞান, পানিসম্পদ, পরিবেশ. গ্রামীণ উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাঁর অসংখ্য পুস্তক ও গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেশের চলমান রাজনীতি, আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী, পানিসম্পদ ও পরিবেশ বিষয়ে কলাম লিখে থাকেন। তিনি বাংলাদেশ ভূগোল পরিষদ ও বাংলাদেশ জাতীয় ভূগোল সমিতিসহ অনেকগুলো বিদুৎ সংস্থার বিভিন্ন সময়ে সভাপতি/নির্বাহী প্রধান/ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথেও সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞার অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ১৯৮৪ সালে ফরাসী সরকার তাঁকে ÔOfficier dans L’Ordre des Arts et des Lettres’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি সেনেগালে কূটনৈতিক দায়িত্ব শেষ করে দেশে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে ঐ দেশের প্রেসিডেন্ট তাঁকে বিদেশী কোন কূটনৈতিককে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ÔCommabdeur de POrdre Nation du Lion( Commander of the Nation Order of Lion)’উপাধিতে ভূষিত করেন। প্রফেসর মিঞা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৩ সালে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অবৈতনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং ২০০৪ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হন। এছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মানা অর্জন করেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক ও পানি বিশেষজ্ঞ- প্রফেসর ড.মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা। ২০১৬ সালের ১৩ জুন প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা মৃত্যুবরণ করেন। { অসমাপ্ত… / বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)