তিনি কৃতী পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা বিশিষ্ট রাজনীতিক ‘লতিফ হোসেন’ ছিলেন ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের ভূমি মন্ত্রী। তখন বঙ্গবন্ধুও একই ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর সখ্যতা ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন মন্ত্রী লতিফ হোসেনের গুরুত্বপূ্র্ণ অবদান রয়েছে।
ডা.ওমর ফারুক ১৯৭২ সালে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭৪ সালে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৮০ সালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। দীর্ঘদিন তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলোজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। ২০১৩ সালে ক্যাম্পেইন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সহস্রাধিক হৃদরোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে চিকিৎসা সহায়তা ও অসহায়-দুস্থ মানুষকে আর্থিক-খাদ্য সহযোগিতা করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশনের পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় সাবেক সচিব জিল্লার রহমানের গুরুত্বপূ্র্ণ অবদান রয়েছে। ডা. ওমর ফারুকের ভূমিকাও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তিনি। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্লাবের আজীবন সদস্য, মহানন্দা প্রবীণ নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম), নতুন ধারার গবেষণাধর্মী-সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’এর আজীবন সদস্য, এ্যাঞ্জেল গার্ডেন এর আজীবন সদস্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে ডা. ওমর ফারুক পিতা-মাতার পঞ্চম সন্তান। তাঁর মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন। তাঁর স্ত্রী ফারজোনা আরেফিন। ট্রাভেলিং-ভ্রমনে তাঁর শখ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন। { অসমাপ্ত……/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}