বাংলাদেশের প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী, জীবন্ত কিংবদন্তি `রফিকুল আলম’ তৎকালীন মালদহ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামের (মাতুতালয়/নানীর বাড়ি) এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত ডা.গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও মাতা প্রয়াত মমতাজ বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রফিকুল আলম পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী ও বঙ্কিম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড.সারোয়ার জাহান (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত শিল্পী) হলেন তাঁর বড় ভাই। রফিকুল আলমের সহধর্মিনী হলেন দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী- আবিদা সুলতানা।
১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগ পরবর্তী সময়ে তাঁর পিতা ডা.গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, দুই স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তানসহ পরিবারের সকলে তৎকালীন মালদহ জেলার কৃষ্ণপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বোয়ালিয়া, রহনপুর এবং সবশেষে রফিকুল আলমদের মাতুতালয়/নানীর বাড়ি অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে স্থানান্তর হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ডা.গিয়াসউদ্দিন সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন প্রয়াত রহিমা খাতুন। রহিমা খাতুনের পাঁচ ছেলে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে এখনও বসবাস করছেন। রফিকুল আলমের পিতা ডা.গিয়াসউদ্দিনের কবরও রয়েছে বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে। উচ্চ শিক্ষার জন্য পরবর্তীতে রফিকুল আলম এবং তাঁর বড় ভাই-প্রফেসর সারোয়ার জাহান রাজশাহীতে চলে যান।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভ্রাম্যমান শিল্পী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখেন। সঙ্গীত শিল্পী রফিকুল আলম তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন বেতার-টেলিভিশনের সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও পরিচালনা করেন। বাংলা গানের ভুবনে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর (পাঁচ দশক) ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী, জীবন্ত কিংবদন্তি- রফিকুল আলম।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান এবং বাংলা গানের ভুবনে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ‘প্রবাস প্রজন্ম জাপান’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক ‘প্রবাস প্রজন্ম জাপান সম্মাননা-২০১৫’ ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী, কিংবদন্তি- রফিকুল আলম। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}