আবদুল হক

বাংলাদেশের প্রথিতযশা প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের’ অন্যতম উত্তরসাধক ‘আবদুল হক’ ১৯১৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তারপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের উদয়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে কানসাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন (প্রথম বিভাগ) এবং ১৯৩৯ সালে করটিয়ার সাদত কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (প্রথম বিভাগ) পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র ‘আবদুল হক’ ১৯৪৪ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক (ইংরেজি) এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ (ইংরেজি) ডিগ্রী অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলা একাডেমীতে কর্মরত ছিলেন। প্রবন্ধ, গল্প, নাটক ও অনুবাদসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর রচিত অসংখ্য লেখা সেই সময়ের জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মূলত তিনি প্রাবন্ধিক হিসেবে দেশব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে দাউদ সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার-সম্মানা অর্জন করেন। তাঁর ‘লেখকের রোজনামচায় চার দশকের রাজনীতি-পরিক্রমা প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ১৯৫৩-১৯৯৩’ একটি মূল্যবান রেফারেন্স গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। আবদুল হক মূলত বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও চিন্তক। কাজী আবদুল ওদুদের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের’ অন্যতম উত্তরসাধক ‘আবদুল হকের’ প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৮টি। বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ‘আবদুল হক’ ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী) }