সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ, আধুনিক নাচোলের উন্নয়নের রুপকার- ‘ম.আ.মালেক চৌধুরী ওরফে মিটু চৌধুরী’ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবুল হাসান চৌধুরী এবং মাতা সায়েরা চৌধুরী। ১৯৬০ সালে রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৬২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং পরবর্তী সময়ে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৬৫-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতা করেন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় তিনি সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী ম.আব্দুল মালেক মিটু চৌধুরী ১৯৭২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা ছাড়াই ‘মিটু চৌধুরী’ ১৯৮৫ সালে প্রথম এবং ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বার নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। নাচোল উপজেলায় তাঁর আলাদা গ্রহণযোগ্যতা, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণে ২০১১ সালে নাচোল পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলে, সেখানেও তিনি প্রথম-মেয়র নির্বাচিত হোন। তৎকালীন নাচোল উপজেলার রাস্তা-ঘাট, কালভাট,ব্রীজ, স্কুল-কলেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে, এলাকার মানুষের জন্য তিনি বহু জনহিতকর কাজ করেছেন। কয়েকবার স্বতন্ত্রভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও করেছেন।
নাচোলে উন্নয়নের প্রথম বীজ বপন করেন। আধুনিক নাচোলের উন্নয়নের রুপকার মূলত মিটু চৌধুরী। ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে সম্প্রতি নাচোল বাসস্ট্যান্ড থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা ‘মিটু চৌধুরী সড়ক’ নামে নামকরণ করেছে নাচোল উপজেলা পরিষদ। {অসমাপ্ত……/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-১ম ও ২য় খণ্ড), লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}