মেহবুব রাজা

গুণি সঙ্গীত শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ‘মেহবুব রাজা’ ১৯৫৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নামোশঙ্করবাটি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ‘মেহবুব ইলিয়াস’ একজন স্বনামধন্য কবি, নাট্য শিল্পী ও লোকসঙ্গীত শিল্পী।
মেহবুব রাজা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ওস্তাদ শেখ লাল মোহাম্মদের কাছে তিনি সঙ্গীতের হাতেখড়ি নেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চু (রাজশাহী), ওস্তাদ মো.ফজলুল হক, মিথুন দে, ড.হারুনুর রশিদ প্রমুখ গুণি সঙ্গীতজ্ঞদের কাছে তালিম নেন। ১৯৭৬ ও ৭৭ সালে ‘বাফা’ ও শিল্পকলা একাডেমী ঢাকা থেকে উচ্চতর সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবতী সময়ে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম সংগীত প্রতিষ্ঠান ‘সংগীতা সংগীত নিকেতন’ গড়ে তোলেন। নাজিমউদ্দীন নাজু, রফিকুল ইসলাম বাবু, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ তাঁর হাত ধরে সঙ্গীত জগতে এসে পরবর্তীতে শিল্পী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।
মেহবুব রাজা ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ইউনিভার্সিটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ বেতারে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন। মেহবুব রাজা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গণমানুষের মনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। সেই সময়ে তাঁকে অনেকে ‘গানের রাজা’ বলেই ডাকতো।
বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুর মহল্লায় পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে তিনি গুণিজন হিসেবে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। {অসমাপ্ত……/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}