‘মুসফিকুর রহমান বাবু’ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পৈত্রিক/আদি নিবাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মর্দনা গ্রামে। তাঁর পিতা তৈমুর রহমান এবং মাতা তাহমিনা খাতুন। তাঁর জন্ম ১৯৭৭ সালের ১০ জানুয়ারি।
অল-রাউন্ডার ‘মুসফিকুর রহমান বাবু’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে রাজশাহীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষেও খেলেছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। আদর্শ অল-রাউন্ডার ছিলেন। রাজশাহীর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির শুরুর দিকে ২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে অভিষেক ঘটে তাঁর। বাবু ডাকনামে পরিচিত মুশফিকুর রহমানের ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে টেস্ট অভিষেক ঘটে। বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত টেস্টে তার ঐ অভিষেক সুখকর হয়নি। ঐ টেস্টে ইনিংস ও ৩২ রানে এবং ২৬ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে হারারের দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটে পরাজিত হয় বাংলাদেশ দল। উভয় টেস্টেই তিনি কোন উইকেট পাননি কিংবা দুই অঙ্কের কোটাও স্পর্শ করতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে পরবর্তী দুই বছর দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষিত হন। ২০০৩ সালে ব্যাটিং কৌশল রপ্ত করে ডেভ হোয়াটমোরের নতুন যুগে পুণরায় অন্তর্ভুক্ত হন। অক্টোবর, ২০০৩ সালে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংস খেলেন। এরপর থেকেই দলের অন্যতম খেলোয়াড়ে রূপান্তরিত হন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি আর কেবলমাত্র আর একটি বছর খেলার সুযোগ পান। ২০০০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দলের পক্ষে দশটি টেস্ট ও ২৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ৩০ মে, ২০০০ তারিখে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। ২৭ ডিসেম্বর, ২০০৪ তারিখে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেন। কোন শতক কিংবা অর্ধ-শতকের সন্ধান না পেলেও টেস্ট এবং ওডিআইয়ে যথাক্রমে ৪৬ ও ৪৯ করেছিলেন। উভয় স্তরের ক্রিকেটেই ৬টি ক্যাচ নিয়েছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই মূলতঃ খেলেছেন এবং ক্লাব ক্রিকেটে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন তিনি। খেলা থেকে অবসর নিয়ে রেফারির ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জাতীয় ক্রিকেট দলকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। {অসমাপ্ত……/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}