মজিবুর রহমান

মহান ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিক- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান ১৯২৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার টিকরামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আজিজুর রহমান ও মাতা নূর জাহান বেগম। ১৯৫২ সালে মজিবুর রহমান তৎকালীন রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলনে রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে স্কুলের ছাত্রদের সংগঠিত করে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভাষা সংগ্রামী মজিবুর রহমান। তৎকালীন রাজশাহী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন প্রথিতযশা আইনজীবি গোলাম আরিফ টিপু (চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান)। ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারীর দিবাগত রাতেই রাজশাহী সরকারি কলেজের মুসলিম হোস্টেলের গেটে ইট ও কাদা দিয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। অনেকেই এটিকে দেশের প্রথম শহীদ মিনার বলে দাবি করে থাকেন। এ শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগের সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ্যাড.গোলাম আরিফ টিপু, প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন, ডা.মেসবাহুল হক বাচ্চু, প্রকৌশলী মজিবুর রহমান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারী পূর্বাহ্ণেই অবশ্য পুলিশ এ শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে।
পেশাগত জীবনে মজিবুর রহমান ছিলেন একজন স্বনামধন্য ও দক্ষ প্রকৌশলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেন্ট্রাল ঈদগাহের সভাপতি ও খালঘাট গোরস্থানের সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেন্ট্রাল ঈদগাহ ও খালঘাট গোরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৫৭-৭০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের অফিস ভাড়াসহ তৎকালীন রাজশাহী শহরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন সমাজসেবী মজিবুর রহমান। ১৯৮২ সালের পরবর্তী সময়ে রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমান। ব্যক্তিগত জীবনে তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জনক মজিবুর রহমানের স্ত্রী ছিলেন রিজিয়া রহমান। ভাষা সৈনিক মজিবুর রহমান ২০০৫ সালের ৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}