মোনাওয়ার আহমাদ

বাংলাদেশের প্রথিতযশা কীটতত্ত্ববিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত), প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড.মোনাওয়ার আহমাদ ১৯৩৫ সালের ২৫ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রহিম বক্স মাস্টার ছিলেন এলাকার একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। তাঁর মাতার নাম মিসেস রোকেয়া খাতুন। দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে মোনাওয়ার আহমাদ পিতা-মাতার জ্যোষ্ঠ সন্তান। মেধাবী ছাত্র মোনাওয়ার আহমাদ ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি, ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেকসাস এএন্ডএম ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এস এবং ১৯৬৭ সালে কীটতত্ত্বে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোষ্ট ডকটোরাল করেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ময়মনসিংহ) সুনাম এবং সাফল্যের সাথে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন প্রফেসর ড.মোনাওয়ার আহমাদ। কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান, কৃষি অনুষদের ডিন, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, সিন্ডিকেট সদস্য, কো-অর্ডিনেটর, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির পরিচালকসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি বেশ কয়েকবার, বিভিন্ন সময়ে (১৯৯০, ১৯৯২, ১৯৯৫, এবং ১৯৯৬) দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং পরবর্তীতে কীটতত্ত্ব সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির (১৯৯০) দায়িত্ব পালন করেন। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) কীটতত্ত্ব ও বিভিন্ন শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটিতে সদস্য/বিশেষজ্ঞ, এম.এস.সি/পি.এইচ.ডি কমিটির সদস্য/চেয়ারম্যানসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা কীটতত্ত্ববিদ, অন্যতম কৃষি ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেমিনার/কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। কীটতত্ত্ব বিষয়ে তাঁর ৬৬টি গবেষণা প্রকাশনা দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জার্নাল-পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ২০০০ সালে প্রফেসর ড.মোনাওয়ার আহমাদ অবসরগ্রহণ করেন।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলের জনক। তাঁর সুযোগ্য সন্তান ড.মাসুম আহমাদ বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) এর স্বনামধন্য অধ্যাপক (কীটতত্ত্ব বিভাগ) এবং ডা.মুশতাক আহমাদ সোহেল লে.কর্নেল পদমর্যাদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী) }