বিশিষ্ট কৃষিবিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক- মো.এনামুল হক ১৯৪৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মহারাজপুরের গোয়ালটুলি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত সেকেন্দার আলী ও মাতা প্রয়াত আয়তন নেসা।
কৃষিবিদ এনামুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সফল মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উদ্যানতত্ত্বে দেশি-বিদেশী উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থাকাকালীন তাঁর কর্মদক্ষতা, নিরলস প্রচেষ্টা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে আমাদের দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় এবং এই সময়ে দেশে ফলদ বৃক্ষরোপন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
কৃষিবিদ এনামুল হক হাইব্রিড ধান ও ভুট্টা চাষের প্রচলন করেন এবং ফল ও উপকারী বৃক্ষরোপনে চাষীদের মাঝ সাড়া জাগাতে সক্ষম হন। মহাপরিচালক হয়েও দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সরেজমিনে ঘুরে কৃষক, নার্সারী ব্যবসায়ী, এনজিও এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদের তিনি হাতে-কলমে বিভিন্ন ফলের নতুন কলম করার পদ্ধতি শেখানোর ব্যবস্থা করেন। আম, জাম, বেল, কদবেল, তেঁতুল, জলপাই, লটকন, কামরাঙা, আমড়াসহ বিভিন্ন ফলের নতুন কলম (কেফট গ্রাফটিং) পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তোলেন। কদবেল, তেঁতুল ও লটকনের চারা লাগানোর পর আগে ফলন পেতে ১০-১২ বছর লাগলেও কেফট গ্রাফটিং পদ্ধতিতে ফল ধরছে মাত্র ২-৩ বছর সময়ে। কৃষিবিদ এনামুল হকের প্রচেষ্টায় এ সফলতা এসেছে আমাদের দেশে। তিনি মহাপরিচালক থাকাকালীন অফিস শেষে নিজ হাতে আমসহ বিভিন্ন ফলগাছের কলম তৈরি করতেন ও অন্যদের শেখাতেন- তাঁর এ প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে। {অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}