আমিনুল করিম (রুমী)

Share With

বাংলাদেশের অন্যতম সামরিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. জেনারেল (অব.)- `প্রফেসর ড.মো. আমিনুল করিম (রুমী)’  কৃতি পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা মনতাজ উদ্দিন আহমদ (এমএলএ) ছিলেন রাজনীতিক ও সমাজসেবী। বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের প্রথম লে.জেনারেল পদ মর্যাদাধারী উর্দ্ধতন সামরিক কর্মকর্তা ‘আমিনুল করিম রুমী’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীবাড়ির চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। স্থায়ীভাবে থাকেন ঢাকায়। তাঁর দুই ভাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের স্বরুপনগরে স্থায়ীভাবে পরিবারসহ বসবাস করছেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড.আমিনুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০২ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সেনা বিভাগের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবে তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সামরিক সচিব (সরকারের সচিবের পদমর্যাদা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ও ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালের সাথে অধিভুক্ত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।

২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওস্টেট ইউনিভার্সিটির মারশোন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া-ইউরোপ-ইনস্টিটিউটে জুন ২০০৯ থেকে জুন ২০১০ সাল পর্যন্ত ভিজিটিং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অক্টোবর ২০১০ থেকে আগস্ট ২০১১ সাল পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জানুয়ারী ২০১১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া-ইউরোপ-ইনস্টিটিউটে ২০০১ সাল থেকে অধ্যাপকের মর্যাদাসহ সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নন-প্রলিফারেশন স্টাডিজে সিনিয়র ফেলো (অনাবাসী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বেইজিংএর চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মার্চ ২০১৮ সাল থেকে ঢাকার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ডীন ও অধ্যাপক।

প্রফেসর আমিনুল করিমের উল্লেখযোগ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ: কনটেম্পোরারি সিকিউরিটি ইস্যুস ইন টি এশিয়া-প্যাসিফিক এন্ড বাংলাদেশ পাওয়ার পলিটিক্স ইন টি এশিয়া-প্যাসিফিক, টি কেস অফ চিনেসে মডার্নিজশন সিলেক্টেড পাপেরস ও সিকিউরিটি এন্ড লিডারশিপ জেনোসাইড এন্ড গেঁয়োপলিটিক্স অফ টি রোহিঙ্গ্যা ক্রাইসিস ২১স্ট সেঞ্চুরি হাই পলিটিক্স ইন টি ইন্ড-প্যাসিফিক এন্ড টি বে ওফ, বেঙ্গল (কান্ট্রিস এন্ড কাল্টুরেস অফ টি ওয়ার্ল্ড)।

জিয়াউদ্দিন মণ্ডল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ-রাণীবাড়ি অর্থাৎ নিজ এলাকার মানুষদের কল্যাণে নানামুখি সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গুণীজন হিসেবে লে.জেনারেল আমিনুল করিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা থেকে ২০০৩ সালে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা শতবর্ষ পূর্তি উৎসব সম্মাননা’ প্রাপ্ত হয়েছেন। আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সদস্যসহ জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে। {অসমাপ্ত……/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}