বাংলাদেশের প্রথিতযশা আইনজীবী, প্রখ্যাত রাজনীতিক ও সমাজসেবী এ্যাড.আবদুস সামাদ ১৯৪৫ সালের ৭ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখরআলি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলভী নাসিম উদ্দিন এবং মাতা শাহীমন নেছা।
স্কুল শিক্ষক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি আইনজীবী এবং রাজনীতিক হিসেবে দেশব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেন। সফল এবং বর্ণাঢ্য জীবনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধ্যন্য আইনজীবী, বাংলাদেশ বার এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সদস্য, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সোসাইটির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন প্রথিতযশা আইনজীবী এ্যাড.আবদুস সামাদ। বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে তিনি রাজনীতিক জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সাল থেকে মৃত্যুঅবধি গণআজাদী লীগের নির্বাচিত চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ এবং ১৯৯১ সালে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃতাধীন মহাজোটের অন্যতম শরিক দল হিসেবে কাজ করছে ‘গণআজাদী লীগ’।
শুধু রাজনীতিক এবং আইনজীবী নয়, একজন সমাজসেবী-জনদরদী মানুষ হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করলে, ঢাকায় বসবাসরত অসংখ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীর কল্যাণে ‘ঢাকাস্থ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতি’ গঠিত হয়। ঢাকাস্থ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী এ্যাড.আবদুস সামাদ। পরবর্তীতে এ্যাড.আবদুস সামাদ ‘ঢাকাস্থ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতির’ সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এলাকার উন্নয়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল ‘চরবাগডাঙ্গায়’ পারিবারিকভাবে তিনি গড়ে তোলেন ‘আলহাজ্ব আবদুস সামাদ ডিগ্রী কলেজ’। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের কল্যাণে সর্বদা নিবেদিত প্রাণ, প্রথিতযশা আইনজীবী ও রাজনীতিক ‘আলহাজ্ব আবদুস সামাদ’ ২০১৪ সালের ১৩ জুন মৃত্যুবরণ করেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী) }