কাজী জালাল উদ্দিন আহমদ

Share With

বাংলাদেশের অন্যতম উদ্ধর্তন সরকারি কর্মকর্তা (শিক্ষা সচিব), বিশিষ্ট সমাজসেবী ‘কাজী জালাল উদ্দিন আহমদ’ ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ডা.কাজী আজাহার উদ্দিন এবং মাতা কানিজ জোহুরা। কাজী জালাল উদ্দিন মালদাহ জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে আই.এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে বি.এস.সি (অনার্স) ও এম.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন পাকিস্তানের সি.এস.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।
বর্ণাঢ্য সরকারি চাকুরী জীবনে তিনি চট্রগ্রাম ও পাবনার (১৯৬০) জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। যোগাযোগ সচিব এবং শিক্ষা সচিবসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সর্বচ্চো চাকুরীর পদ অলংকৃত করেন বিশিষ্ট উদ্ধর্তন সরকারি কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন। তিনি যেখানেই কাজ করেছেন, সেখানেই জনপ্রিয়তা-সফলতা অর্জন করেছেন। অত্যন্ত প্রভাবশালী, দক্ষ, সিনিয়র সচিব হিসেবে শুধু নয়, সমাজসেবী-জনদরদী মানুষ হিসেবেও তাঁর খ্যাতি রয়েছে।
সাধারণ মানুষের কল্যাণে পারিবারিকভাবে তিনি ভোলাহাটসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানারকম সহযোগিতা-পৃষ্ঠাপোষতা করতেন। চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক থাকাকালীন তিনি পার্বত্য চট্রগ্রামবাসীদের জন্য নানা কল্যাণমূলক কাজ করে পাহাড়ী আদিবাসীদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক-জাতীয় সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ঢাকাস্থ ‘রাজশাহী জেলা সমিতির’ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন। দেশ ও বিদেশে তাঁর প্রচুর সুনাম রয়েছে। ১৯৮৯ সালে তিনি সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়ে অবসরগ্রহণ করেন। ব্যক্তিজীবনে ছিলেন এক ছেলে এবং দুই মেয়ের জনক।
বিশিষ্ট সমাজসেবী কাজী জালাল উদ্দিন আহমদ ২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর মুত্যুবরণ করেন। তিনি মারা যাওয়ার আগে তাঁর মায়ের নামানুসারে ভোলাহাটে একটি কারীগরি কলেজ খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগের কারণে তাঁকে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হয়। { অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী}