`জাতীয় বৃক্ষ আমগাছের’ উপর বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম গ্রন্থের লেখক, খ্যাতিমান আম এবং আমগাছ বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট সাংবাদিক সাব্বির আহমদ ১৯৬০ সালের ১ ফেব্রুয়ারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের দুর্গাপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলভী জহুর আহমেদ এবং মাতা রওজাতুন নেসা।
১৯৭৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুর ১নং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৭৮ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং রাজশাহী কলেজ থেকে বাংলায় বি.এ (অনার্স), পরবর্র্তীতে ১৯৮২ সালে এম.এস.এস বর্ষ পরীক্ষায় থিসিস গ্রুপে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন সাব্বির আহমদ। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়েলি গীত’।
‘জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ’ সাব্বির আহমদের লেখা প্রথম প্রকাশিত বই। আমাদের দেশে জাতীয় বৃক্ষকে নিয়ে লেখা এটি হচ্ছে প্রথম এবং একমাত্র গবেষণামূলক গ্রন্থ। ‘জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উলা। ২০১৩ সালে বন অধিদপ্তর (ঢাকা) এর হৈমন্তি মিলনাতায়নে অনুষ্ঠিত এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম), প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদের স্ত্রী ও গুণি অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, প্রফেসর ইব্রাহিমসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
‘জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ’ প্রকাশ পরবর্তী সময়ে গবেষক ও লেখক হিসেবে সাব্বির আহমেদ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশনের টক-শো, আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন। প্রখ্যাত কৃষি ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের (চ্যানেল আই) অনুষ্ঠানসহ প্রায় সকল টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘সাব্বির আহমেদ’ এবং তাঁর লেখা বই ‘জাতীয় বৃক্ষ আমগাছ’ নিয়ে আলোচনা, বিশেষ প্রতিবেদন, টক-শো প্রভৃতি প্রচার হলে তিনি ‘আম এবং আমগাছ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে দেশব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেন ।
খ্যাতিমান লেখক-গবেষক শুধু নন, সাংবাদিক হিসেবেও ’সাব্বির আহমদের সুনাম রয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। কলেজ জীবন থেকেই মূলত তাঁর সাংবাদিকতা শুরু। দৈনিক রাজশাহী বার্তার স্টাফ রিপোর্টার, জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক খবরপত্রের মফস্বল সম্পাদক, দৈনিক দেশ বাংলার বিভাগীয় প্রতিনিধি, দৈনিক আজকের মংমনসিংহের বিশেষ প্রতিনিধিসহ জাতীয় ও বিভাগীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি গবেষণায় তাঁর আগ্রহ বেশী। বর্তমানে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়েলি গীত’ এবং ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের লোকশিল্প’ নামক তাঁর নতুন দু’টি প্রকাশনার (বই) কাজ চলছে। লেখালেখি-সাংবাদিকতার পাশাপাশি নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রবাহ সাহিত্য গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য, ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির জীবন সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। { অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী) }