দেশবরেণ্য প্রখ্যাত চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড ১৯৬৪ সালের ২৩ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ফকিরপাড়া মহল্লার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম প্রয়াত সৈয়দ শাহ-ই-জাহান আলী ও মাতার নাম সৈয়দা বেগম মুশতারী বেগম। ক্যারিয়ারের শুরুতে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড মূলত একজন নাট্যকার ও নাট্য নির্মাতা হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর রচনা ও পরিচালনায় ৫৩টি নাটক নির্মিত হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৃষ্ণকুমারী, জীবন যেখানে যেমন, সন্ধ্যালোকে যাত্রা, নিশিথে নোঙর প্রভৃতি। পরবর্তীতে তিনি ভিন্নধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। নাচোল, রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোদাগাড়ী, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর নাটক ও চলচ্চিত্র স্যুটিং হয়েছিল। সেই তাঁর নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসেছিলেন ফৈরদৌস, পপি, সিমলা, জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, আজাদ আবুল কালাম, বন্যা মির্জা, তমালিকা কর্মকারসহ অনেক দেশবরেণ্য গুণি অভিনেতা-অভিনেত্রী।
তাঁর রচনা ও পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র-নাচোলের রাণী (ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন এবং কিংবদন্তি নেত্রী ইলামিত্রের জীবন-সংগ্রাম অবলম্বনে) মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। যা চলচ্চিত্র বোদ্ধামহলে ব্যাপক আলোচিত, প্রশংসিত হয়। জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘নাচোলের রাণী’ চলচ্চিত্রের প্রশংসা শুরু হয়। তাঁর এই বিখ্যাত চলচ্চিত্রের অংশ বিশেষ আন্তর্জাতিক সাফ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (২০১০) গীতিনাট্য হিসেবে প্রদর্শিত হয়। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা এর ভূয়সী প্রসংশা করেন। পরবর্তীতে গুণি এই নির্মাতা ‘গঙ্গাযাত্রা’ ও ‘অন্তর্ধান’ নামে আরও দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁর ‘গঙ্গাযাত্রা’ চলচ্চিত্রটি জাতীয় (৮টি সেক্টরে) এবং আন্তর্জাতিক (৪টি সেক্টরে) পুরস্কার লাভ করে। আন্তর্জাতিক পুরস্কার,জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার লাভ করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড।
বর্তমানে নাটক, চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রযোজনা ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যার জনক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের স্ত্রীর নাম সৈয়দা রোকসানা জামান। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী) }