বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সিরাজুল ইসলাম ১৯৪০ সালের ৩ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া গ্রামে এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম প্রয়াত মোজাফফর হোসেন, মাতার নাম প্রয়াত মালেকা বেগম। পারিবারিক উৎসাহেই তাঁর সাংস্কৃতিক জগতে পাদর্পণ। তাঁর সংগীত গুরু বংশী রঞ্জন পাল ও মামা- ওস্তাদ শেখ আব্দুল লতিফ। সিরাজুল ইসলাম ১৯৬২ সালে তদনীন্তন পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সপ্তাহে রবীন্দ্র সংগীতে সিনিয়র গ্রুপে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি রাজশাহী বেতার কেন্দ্র থেকে রবীন্দ্র ও নজরুুল সংগীত এবং সেই সময় তিনি রংপুর বেতার কেন্দ্রে থেকেও আধুনিক, রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীতে সংগীত পরিবেশেন করে আসছেন। তিনি ২০০২ সালে জুন মাসে ‘এ’ গ্রেডের শিল্পী হিসেবে এবং সংগীত প্রযোজক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
তাঁর রচিত অসংখ্য গান বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। ১৯৭৭-১৯৮১ সাল পর্যন্ত শিবগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এবং ১৯৮১-২০০০ সাল পর্যন্ত নবাবগঞ্জ শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজে শিক্ষকতা করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত বি.এ/বি.এস.এস কোর্সের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী এবং একটি কে.জি স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সিরাজুল ইসলাম তিন শতাধিক গম্ভীরা গান রচনা করেন, গম্ভীরা গানগুলো স্থানীয় এবং জাতীয় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে পরিবেশিত হয়ে থাকে।
তিনি ১৯৯৭ সালে পাবনায়, ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে সংগীত ব্যক্তিত্ব হিসেবে সংবর্ধিত হন। পশ্চিমবঙ্গের জিয়াগঞ্জের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সম্মাননা (২০০০), জাতীয় সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা (১৯৯৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা শতবর্ষ পূর্তি উৎসব সম্মাননা (২০০৩), উত্তরবঙ্গ সংস্কৃতি পরিষদ সম্মাননাসহ দেশ-বিদেশের বহু সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}