বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক ‘সামসুল ইসলাম টুকু’ ১৯৫০ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার (তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ মালদহ জেলার একটি মহকুমা ছিল) গোলাবগঞ্জ থানার ষাড়দহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর পিতা ইয়াসিন আলী পরিবারসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুর মহল্লায় চলে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরেই সামসুল ইসলাম টুকুর বেড়ে ওঠা, শৈশব, কৈশোর, লেখাপড়া, ব্যবসা, চাকুরি, সাংবাদিকতা। তাঁর মাতার নাম নূরজাহান বেগম।
শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৭০ সালে গাঙ্গুরিয়া হাই স্কুলে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। একই বছরে ম্যালেরিয়া উচ্ছেদ কর্মসূচিতে এক মাস সুপারভাইজার হিসেবে সরকারি চাকরিও করেছেন। সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন ১৯৮৫ সালে, দৈনিক সংবাদে। এখনো দৈনিক সংবাদেই আছেন। সুনাম এবং সাফল্যের সাথে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকতায় অবদান রেখে চলেছেন। বহু গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, প্রতিবেদন, অনুসন্ধানী সংবাদ তাঁর ঝুঁলিতে রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে জেলা প্রতিনিধি ও কলামিস্ট হিসেবে বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন।
আনোয়ার হোসেন দিলু, মাহবুবুল আলম, নাসিম মাহমুদ, আলমগীর কবির কামাল, ডাবলু কুমার ঘোষসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু সাংবাদিক রয়েছেন, যারা সামসুল ইসলাম টুকুর হাত ধরে সাংবাদিকতায় এসেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (পরবর্তীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব নামে পরিচিত হয়) এবং সিটি প্রেস ক্লাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আহবায়ক হিসেবে তিনি খন্ডকালীন দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণমূলক সাংবাদিকতার ত্রিশ বছর, না বললেই নয়সহ মোট চারটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ লেখক পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কাজের সাথেও জড়িত রয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র’ এর সভাপতি হিসেবে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগীদের বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও তিনি বন্ধু পরিবার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছেন। দুই দফায় মোট চার বছর ডিসি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গুণীজন হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা থেকে তিনি সংবর্ধিত হয়েছেন। {অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}