বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক ও সঙ্গীত শিল্পী শাহাবুদ্দীন নাগরী ১৯৫৫ সালের ৬ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের শিবনগর গ্রামের ‘অভিজাত নাগরী’ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মহম্মদ সাবির উদ্দিন এবং মাতা সায়েমা খাতুন। পেশাগত জীবনে তিনি সরকারি চাকুরীজীবী হলেও মননশীলতায় একজন একনিষ্ঠ সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবী।
স্কুলজীবন থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির শুরু। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক-এর ‘কচিকাঁচার আসর’, দৈনিক বাংলা পত্রিকার ‘সাত ভাই চম্পা’ প্রভৃতি জাতীয় দৈনিকের সাময়িকীতে ছড়া প্রকাশ শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে ‘সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা’ প্রকাশ হলে তিনি এর নিয়মিত ছড়াকার হিসেবে অবদান রাখতে শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। সত্তর দশকের শেষভাগে তিনি কবিতা এবং ১৯৯০ এর দশকে গান লেখা শুরু করেন। এ সময় তিনি টেলিভিশনের জন্য নাটক রচনাও করেন। বাংলাদেশে আধুনিক গানের জগতে শাহাবুদ্দীন নাগরী একটি সুপরিচিত নাম। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। এ পর্যন্ত তাঁর ১২টি গানের এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
শাহাবুদ্দীন নাগরী রচিত ছড়া ১৯৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। একই সঙ্গে তিনি ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, গায়ক এবং নাট্যকার হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিম-লে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৮-এ কোলকাতায় অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর এক খ- জমি (২০০৪) প্রদর্শিত হয়। দীর্ঘকাল শিশুসাহিত্যিক হিসেবে প্রখ্যাত হলেও একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে তিনি প্রধানত কবি এবং গায়ক এই দুই পরিচয়ে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন।
কবির ন্যায় শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে সমাদৃত এক নাম। তাঁর লেখা কিশোর ছোট গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে ডেটলাইন টেকনাফ (১৯৮৭), বিলুমামার গবেষণা (১৯৯৩), বিলুমামার নিউ প্রজেক্ট (২০০৬), আমার বন্ধু এবিসি (২০০৬) প্রভৃতি বেশ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়া তার লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী; হুলোবিড়ালের হুকুমনামা (২০০২) টুটুলের মোনাসা (২০০৬) প্রভৃতি শিশু কিশোরদের কাছে অতি প্রিয় কয়েক বই।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত ‘শকুন সময়’ তার একটি মোহনীয় উপন্যাস। গবেষক-দৃষ্টি শাহাবুদ্দীন নাগরীর সাহিত্য পরিধির আর একটি অনবদ্য বিচরণোদ্যান। প্রবন্ধ ও গবেষণার ক্ষেত্রে নাগরীর অতুলনীয় দক্ষতা পরিদৃষ্ট। মহাকালের বাতিঘর (১৯৮৬), বাংলাদেশের ছড়া (১৯৮৭), শাহাবুদ্দীন নাগরীর কলাম (১৯৯৩), নারীবাদ (২০০১) প্রভৃতি গ্রন্থে তার দক্ষতা ও বিশ্লেষণমুগ্ধ মনের পরিচয় পাওয়া যায়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত কাছের দেশে দূরের দেশে (২০০৬) শাহাবুদ্দীন নাগরীর একটি ভ্রমণ কাহিনী। সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের কাছাকাছি। সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ব্যতিক্রমী ত্রৈমাসিক সাময়িকি ‘লেখা’ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছেন। যেখানে দেশবরেণ্য গুণি লেখক, সাহিত্যিকসহ নবীনদের সৃজনশীল লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
২০০৫ সালে তিনি ‘শ্রেষ্ঠ চিত্র নাট্যকার’ হিসেবে কালচারাল জার্নালিস্ট এসোশিয়েসন অব বাংলাদেশ কর্তৃক পুরস্কৃত হন। ২০১১ সালে তিনি কবিতালাপ পুরস্কারসহ ২০১২ সালে “কবিতাপুর” কাব্যগ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য তিনি অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলের জনক শাহাবুদ্দীন নাগরীর স্ত্রীর নাম ডা.আফতাবুন নাহার মাকসুদা। নাগরীর স্ত্রী ডা.মাকসুদা বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় কর্মরত রয়েছেন। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}
স্কুলজীবন থেকেই মূলত তাঁর লেখালেখির শুরু। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক-এর ‘কচিকাঁচার আসর’, দৈনিক বাংলা পত্রিকার ‘সাত ভাই চম্পা’ প্রভৃতি জাতীয় দৈনিকের সাময়িকীতে ছড়া প্রকাশ শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে ‘সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা’ প্রকাশ হলে তিনি এর নিয়মিত ছড়াকার হিসেবে অবদান রাখতে শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। সত্তর দশকের শেষভাগে তিনি কবিতা এবং ১৯৯০ এর দশকে গান লেখা শুরু করেন। এ সময় তিনি টেলিভিশনের জন্য নাটক রচনাও করেন। বাংলাদেশে আধুনিক গানের জগতে শাহাবুদ্দীন নাগরী একটি সুপরিচিত নাম। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। এ পর্যন্ত তাঁর ১২টি গানের এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
শাহাবুদ্দীন নাগরী রচিত ছড়া ১৯৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। একই সঙ্গে তিনি ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, গায়ক এবং নাট্যকার হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিম-লে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৮-এ কোলকাতায় অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর এক খ- জমি (২০০৪) প্রদর্শিত হয়। দীর্ঘকাল শিশুসাহিত্যিক হিসেবে প্রখ্যাত হলেও একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে তিনি প্রধানত কবি এবং গায়ক এই দুই পরিচয়ে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন।
কবির ন্যায় শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তিনি বাংলা সাহিত্য জগতে সমাদৃত এক নাম। তাঁর লেখা কিশোর ছোট গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে ডেটলাইন টেকনাফ (১৯৮৭), বিলুমামার গবেষণা (১৯৯৩), বিলুমামার নিউ প্রজেক্ট (২০০৬), আমার বন্ধু এবিসি (২০০৬) প্রভৃতি বেশ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়া তার লেখা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী; হুলোবিড়ালের হুকুমনামা (২০০২) টুটুলের মোনাসা (২০০৬) প্রভৃতি শিশু কিশোরদের কাছে অতি প্রিয় কয়েক বই।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত ‘শকুন সময়’ তার একটি মোহনীয় উপন্যাস। গবেষক-দৃষ্টি শাহাবুদ্দীন নাগরীর সাহিত্য পরিধির আর একটি অনবদ্য বিচরণোদ্যান। প্রবন্ধ ও গবেষণার ক্ষেত্রে নাগরীর অতুলনীয় দক্ষতা পরিদৃষ্ট। মহাকালের বাতিঘর (১৯৮৬), বাংলাদেশের ছড়া (১৯৮৭), শাহাবুদ্দীন নাগরীর কলাম (১৯৯৩), নারীবাদ (২০০১) প্রভৃতি গ্রন্থে তার দক্ষতা ও বিশ্লেষণমুগ্ধ মনের পরিচয় পাওয়া যায়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত কাছের দেশে দূরের দেশে (২০০৬) শাহাবুদ্দীন নাগরীর একটি ভ্রমণ কাহিনী। সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের কাছাকাছি। সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ব্যতিক্রমী ত্রৈমাসিক সাময়িকি ‘লেখা’ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছেন। যেখানে দেশবরেণ্য গুণি লেখক, সাহিত্যিকসহ নবীনদের সৃজনশীল লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
২০০৫ সালে তিনি ‘শ্রেষ্ঠ চিত্র নাট্যকার’ হিসেবে কালচারাল জার্নালিস্ট এসোশিয়েসন অব বাংলাদেশ কর্তৃক পুরস্কৃত হন। ২০১১ সালে তিনি কবিতালাপ পুরস্কারসহ ২০১২ সালে “কবিতাপুর” কাব্যগ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য তিনি অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলের জনক শাহাবুদ্দীন নাগরীর স্ত্রীর নাম ডা.আফতাবুন নাহার মাকসুদা। নাগরীর স্ত্রী ডা.মাকসুদা বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় কর্মরত রয়েছেন। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}