বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্ট ডা.রবিউল আলম ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর জেলার ঘোপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে না জন্মালেও যে সকল ব্যক্তির চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান-অর্জন ও কৃতিত্ব রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সিনিয়র কনসালটেন্ট ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা.রবিউল আলম। পিতা প্রয়াত ফজলুর রহমান এবং মাতা আমেনা খাতুনের তিনি তৃতীয় সন্তান।
ডা.রবিউল আলম দীর্ঘদিন কনসালটেন্ট (চক্ষু) পদে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রদান করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে তাঁর অর্থায়নে (আংশিক) একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। চিকিৎসাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়নশুকা চক্ষু শিবির কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে দীর্ঘ ১০ বছর তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসরগ্রহণ করলেও ব্যক্তিগত চেম্বার (পাঠান পাড়ায় বাসা) থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
গুণী ডাক্তার এবং সমাজসেবী ডা.রবিউল আলম ২০১৪ সালে ‘গ্রামীণ চিকিৎসক’ হিসেবে ‘এ্যাসোশিয়েশন অফ কমিউনিটি অর্থামোলোজিষ্ট অফ ইন্ডিয়া’ কর্তৃক ‘ইন্দো-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ পুুরস্কার-সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের পশ্চিমবাংলার সম্মানিত রাজ্যপাল শ্রী কৃষ্ণার্থ ত্রিপাঠি। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উত্তারায়ণ সাংস্কৃতিক পরিষদ থেকে ২০১০ সালে তাঁকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কাঠালবাগিচায় বাড়ি করে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাঁর সুযোগ্য স্ত্রী স্ত্রী-ডা.আয়েশা জুলেখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}