দক্ষিণ এশিয়া ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় (এসএ গেমস-২০১০) বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম স্বর্ণপদক বিজয়ী, দেশ সেরা, খ্যাতিমান কারাতে ও বক্সার ‘মরিয়ম খাতুন বিপাশা’ ১৯৯৩ সালের ৭ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিমোড় মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বনামধন্য কারাতে কোচ ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ‘বাবলু জামান’ হলেন তাঁর পিতা। তাঁর মাতার নাম মাহবুবা বেগম। তিন বোনের মধ্যে মরিয়ম খাতুন বিপাশা পিতা-মাতার বড় সন্তান। ২০০৯ সালে তিনি নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং ২০১২ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি
কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচ.এস.সি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী।
ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক অদোকায় কারাতে প্রতিযোগিতায় (২০০৯) চ্যাম্পিয়ন, ইন্দো-বাংলা গেমসে (২০০৮) স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ৪৫টিরও বেশি স্বর্ণপদক পেয়ে মরিয়ম খাতুন বিপাশা ‘কারাতে ও বক্সার’ হিসেবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেন। ২০১০ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) কারাতে দলগত ‘কাতা’ ও ‘কুমিতে ২টি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এসএ গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সোনা অর্জন করে তিনি সেই সময় ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন। সর্বশেষ ‘চতুর্থ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আন্তর্জাতিক মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় (২০১৫) স্বর্ণপদক অর্জন করেন। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভারতের নয়াদিল্লি, গুজরাট, কলকাতায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
শুধু বিপাশাই নয়, তাঁর অন্যান্য বোনেরাও ক্রীড়াবিদ হিসেবে ইতিমধ্যেই দেশব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীর পক্ষে মরিয়ম খাতুন বিপাশা এবং তাঁর বোন মাউনজেরা বর্ণা ও উম্মে সালমা বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন। মূলত তাঁদের পুরো পরিবারই ‘ক্রীড়া পরিবার’ হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।
ব্ল্যাক বেল্টধারী ‘মরিয়ম খাতুন বিপাশা’ ২০০৯ সালে জাতীয় কারাতে ফেডারেশনে নিয়োগ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুডো, কারাতে ও বক্সিং একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা এবং কোচ বাবলু জামান অর্থাৎ তাঁর পিতার কাছে থেকেই বিপাশা কারাতে, জুডো, বক্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ উত্তরায়ণ সাংস্কৃতিক পরিষদ থেকে দক্ষ কারাতে ও বক্সার হিসেবে মরিয়ম খাতুন বিপাশাকে সম্মাননা-পদক প্রদান করা হয়। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী) }