বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ, আধুনিক ফটোগ্রাফীর জনক, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রাচার্য (ফটোগ্রাফার), কিংবদন্তি- মঞ্জুর আলম বেগ ১৯৩১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে র শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে (নানার বাড়ি-মাতুতালয়) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত প্রফেসর হোসাম উদ্দিন বেগ ছিলেন বরিশাল বি.এম কলেজের স্বনামধন্য অধ্যাপক। তাঁর মায়ের নাম জাহেদা চৌধুরী (জাহেদা বেগ)। মঞ্জুর আলম বেগের পৈত্রিক নিবাস ভারতের মুর্শিদাবাদে। তাঁর জন্ম-নানার বাড়ি শিবগঞ্জের শ্যামপুরে, শুধু তাই নয়, তিনি বিয়েও করেছিলেন তাঁর এক মামাতো বোনকে অথাৎ তাঁর শ্বশুরবাড়িও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের শ্যামপুরে। তাঁর এক বোন-‘নীলুফার চৌধুরী’ শিবগঞ্জের শ্যামপুরে এ.কিউ.চৌধুরী নারী কল্যাণ শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠাসহ নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী কল্যাণ তথা সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
প্রখ্যাত আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ ছিলেন বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ। এম.এ. বেগ, বা বেগ স্যার নামে আলোকচিত্র জগতে তিনি অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফী শিক্ষা কেন্দ্র বেগার্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফী (১৯৬০) এবং বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির (১৯৭৬) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মঞ্জুর আলম বেগ। তিনি তাঁর ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং ক্লাব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। যার কারণে চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ঢাকা সিনেসিক ক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, রাজশাহী ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, নারায়ণগঞ্জ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, দিনাজপুর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। এ সকল ক্লাবগুলোকে এক পতাকার নিচে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটিকে ফেডারেশনে উন্নীত করেন। যার ফলশ্রুতিতে বিপিএস আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফিক ফেডারেশনের ((FIAP) সদস্যপদ লাভ করে আরো শক্তিশালী হয়।
মঞ্জুর আলম বেগ ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বেগার্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফীতে ফটোগ্রাফী বিষয়ে ৩৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬১-৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অডিও ভিজুয়েল সেন্টারে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ১৯৭৫-১৯৭৭ সালে তিনি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ফটোগ্রাফী উপদেষ্টা প্যানেলের সভাপতি, বারডেমে ফটোগ্রাফী বিষয়ের উপদেষ্টা, বাংলা একাডেমী, জাতীয় প্রেস ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে রিসোর্স পারসোনাল হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শিল্পকলা একাডেমী, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, পর্যটন এবং সার্ক দেশ সমূহের মধ্যে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা/প্রদশর্ণীতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আলোকচিত্র জগতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে। ১৯৮২ সালে প্রথম ‘আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফী সম্মেলন’ হয় ভারতের কলকাতায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মঞ্জুর আলম বেগসহ এগারোজনকে ফটোগ্রাফী বিষয়ক শ্রেষ্ট ফেলোশিপ (Hon.FPAD) সম্মানে ভূষিত করা হয়। এ সম্মাননা দলিল হস্তান্তর করেন বিশ্বখ্যাত প্রথিতযশা চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘সত্যজিৎ রায়’। ১৯৯৭ সালে কলকাতা বই মেলাতে দুই বাংলার ফটোগ্রাফী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জনাব বেগকে ফটোগ্রাফি চর্চা পদক প্রদান করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেন। ১৯৯১ সালে নিউ দিল্লীর ইন্ডিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি কাউন্সিল থেকে এম. এ. বেগকে ASIIPC’ সম্মানে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি কর্তৃক ১৯৯৮ সালে আলোকচিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘আলোকচিত্রাচার্য’ উপাধিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু পদক, পুরস্কার-সম্মানা অর্জন করেন তিনি। বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন, প্রথিতযশা আলোকচিত্রাচার্য (ফটোগ্রাফার) মঞ্জুর আলম বেগ ১৯৯৮ সালের ২৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। {অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}
প্রখ্যাত আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ ছিলেন বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ। এম.এ. বেগ, বা বেগ স্যার নামে আলোকচিত্র জগতে তিনি অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফী শিক্ষা কেন্দ্র বেগার্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফী (১৯৬০) এবং বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির (১৯৭৬) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মঞ্জুর আলম বেগ। তিনি তাঁর ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং ক্লাব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। যার কারণে চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ঢাকা সিনেসিক ক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, রাজশাহী ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, নারায়ণগঞ্জ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, দিনাজপুর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। এ সকল ক্লাবগুলোকে এক পতাকার নিচে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটিকে ফেডারেশনে উন্নীত করেন। যার ফলশ্রুতিতে বিপিএস আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফিক ফেডারেশনের ((FIAP) সদস্যপদ লাভ করে আরো শক্তিশালী হয়।
মঞ্জুর আলম বেগ ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বেগার্ট ইন্সটিটিউট অফ ফটোগ্রাফীতে ফটোগ্রাফী বিষয়ে ৩৮ বছর শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬১-৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অডিও ভিজুয়েল সেন্টারে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ১৯৭৫-১৯৭৭ সালে তিনি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ফটোগ্রাফী উপদেষ্টা প্যানেলের সভাপতি, বারডেমে ফটোগ্রাফী বিষয়ের উপদেষ্টা, বাংলা একাডেমী, জাতীয় প্রেস ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে রিসোর্স পারসোনাল হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শিল্পকলা একাডেমী, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, পর্যটন এবং সার্ক দেশ সমূহের মধ্যে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা/প্রদশর্ণীতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আলোকচিত্র জগতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে। ১৯৮২ সালে প্রথম ‘আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফী সম্মেলন’ হয় ভারতের কলকাতায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মঞ্জুর আলম বেগসহ এগারোজনকে ফটোগ্রাফী বিষয়ক শ্রেষ্ট ফেলোশিপ (Hon.FPAD) সম্মানে ভূষিত করা হয়। এ সম্মাননা দলিল হস্তান্তর করেন বিশ্বখ্যাত প্রথিতযশা চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘সত্যজিৎ রায়’। ১৯৯৭ সালে কলকাতা বই মেলাতে দুই বাংলার ফটোগ্রাফী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জনাব বেগকে ফটোগ্রাফি চর্চা পদক প্রদান করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেন। ১৯৯১ সালে নিউ দিল্লীর ইন্ডিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি কাউন্সিল থেকে এম. এ. বেগকে ASIIPC’ সম্মানে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি কর্তৃক ১৯৯৮ সালে আলোকচিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘আলোকচিত্রাচার্য’ উপাধিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু পদক, পুরস্কার-সম্মানা অর্জন করেন তিনি। বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন, প্রথিতযশা আলোকচিত্রাচার্য (ফটোগ্রাফার) মঞ্জুর আলম বেগ ১৯৯৮ সালের ২৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। {অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}