বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী প্রফেসর মো. তরিকুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২১ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদের মাতুতালয়ে (নানীর বাড়ি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মো. মোকসেদ আলী এবং মাতা সৈয়দা খাতুন। তৎকালীন নবাবগঞ্জ থানার বাসুদেবপুরের চরকাশিমপুরে প্রফেসর তরিকুল ইসলামের বাবা-দাদার আদি ভিটা। পরর্তীতে প্রফেসর তরিকুল পরিবারসহ গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদে এবং সর্বশেষ রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার সপুরার প্রফেসর পাড়ায় বসবাস শুরু করেন।
মেধাবী ছাত্র-তরিকুল ইসলাম সমগ্র ছাত্র জীবনে বৃত্তি ও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। প্রফেসর তরিকুল ইসলাম নবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, গুল-গোফুর কলেজে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্ন কর্তা, প্রশ্ন মডারেটর, প্রধান পরীক্ষক হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডায়াবেটিক সমিতি, হার্ট ফাউন্ডেশন, অন্ধকল্যাণ সমিতি, প্রবৗণ হিতৈষী সংঘ, সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সমাজসেবী প্রফেসর তরিকুল ইসলাম। এছাড়াও, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবহারিক জীব-বিজ্ঞান, উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), স্নাতক উদ্ভিদ বিজ্ঞান তিন খন্ড (অনার্স ও মাষ্টার্স), অনুজীববিজ্ঞান (অনার্স ও মাষ্টার্স)সহ আরো বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করে লেখক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন প্রফেসর তরিকুল ইসলাম।
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে দশ হাজার টাকার চেক ও ১৯৯০ সালে এক ভরি ওজনের স্বর্ণ পদক, ১৯৮৫ এবং ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসাবে সম্মাননা, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান ও নবাবগঞ্জ জেলার হাই স্কুল সমূহের প্রধান শিক্ষকগণ কর্তৃক সর্ম্বধনা, জাতীয় সাহিত্য পরিষদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা থেকে ১৯৯৯ সাালে জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ও সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী প্রফেসর মো.তরিকুল ইসলাম। গুণি এই শিক্ষাবিদ ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী) }