একাত্তরে রণাঙ্গনের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ- গোলাম নবী সাটু ১৯৫০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ঝিলিম রোড এলাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সাইদুর রহমান এবং মাতা গুলনেহার বিশ্বাস। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শহীদ তিতুমীর হলের ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ শহীদ ছাত্র হিসেবে অমর শহীদ-মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী সাটুর নাম খোচিত রয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ’৭১ এর ঐতিহাসিক (৩ মার্চ) পতাকা উত্তোলন দিবসের ঐতিহাসিক সমাবেশে গোলাম নবী সাটু উপস্থিত ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন। মেধাবী ছাত্র গোলাম নবী সাটু ১৯৭১ সালে বুয়েটে অধ্যায়নরত অবস্থায়, অসহোযোগ আন্দোলনের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসেন এবং অসহোযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হলে তিনি বি.এল.এফ-এর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে একটি অতি গোপন অপারেশেনে যান এবং সেখান থেকে তিনি ফিরে আসেননি। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আজও রহস্যাবৃত হয়ে আছে। সে সময় কিংবা পরবর্তীতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি। তাঁর সহযোদ্ধা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার অন্যতম সফল চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সেন্টু ‘সাটুর’ প্রতি শ্রদ্ধা জনিয়ে, ‘সাটুর’ স্মৃতি রক্ষার্থে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘বিডি হলের’ নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ সাটু হল’ নামকরণ করেন। পরবর্তীতে পৌর কর্তৃপক্ষ সাটু হল সংলগ্ন এলাকায় মাকের্ট স্থাপন করে ‘শহীদ সাটু হল মার্কেট’ নামকরণ করেন।
{ অসমাপ্ত… / বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী) }