মানুষ গড়ার কারিগর-আদর্শ শিক্ষক, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট ‘অধ্যাপক গোলাম কবির মুহ. নূরুল হুদা’ ১৯৪১ সালের ১ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পোল্লাডাঙ্গা মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা হেশামুদ্দীন এবং মাতা শামসুন্নাহার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর কলেজ, শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি কলেজে বহুদিন তিনি শিক্ষকতা করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে ১৯৭০ সালে নোয়াখালি সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা সরকারি কজে, নওগাঁ সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন শিকক্ষতা করেন। লালমনিরহাট সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ, রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে তিনি ১৯৯৯ সালে অবসরগ্রহণ করেন।
মানুষ গড়ার কারিগর-আদর্শ শিক্ষক হিসেবে গোলাম কবিরের সুখ্যাতি রয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর শিক্ষকতার জীবনে বহু ছাত্র পড়িয়েছেন। যারা আজ জেলার কৃতি সন্তান এবং দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
শুধু শিক্ষকতা নয়, লেখক ও কলামিষ্ট হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক সোনার দেশসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখে থাকেন। লেখক হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি দেশব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছেন। দেশের বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা- ‘কালি ও কলমে’ তাঁর বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে বাংলা কথাসাহিত্যে নজরুল, কালিদাস ও ইমরুল কায়েস, রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য; রবীন্দ্র অনুভব, বিচিত্রকথা, আমার যে দিন গেছে ভেসে, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্য।
গুণী শিক্ষক এবং লেখক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে সংবর্ধিত হয়েছেন। রাজশাহী জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রাজশাহী জেলা শিক্ষক সমিতি, রাজশাহী সরকারি কলেজ, রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জ্যোতি পদক, ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি থেকে তিনি গুণীজন হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত হয়েছেন।
দুই পুত্র সন্তানের জনক অধ্যাপক গোলাম কবিরের সুযোগ্য সন্তান ডা. গোলাম কাওনাইন জামি, (এফসিপিএস মেডিসিন) লে. কর্ণেল পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এবং গোলাম সাকলায়েন রুমি কর্মকর্তা হিসেবে প্রাইমব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।