বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড.মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন ১৯৩৭ সালের ১৫ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের আলীনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রফেসর ড.কায়েস উদ্দিনই একমাত্র গুণি শিক্ষাবিদ, যিনি বাংলাদেশে পরপর দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-উপাচার্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের প্রাণ রসায়ণ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, বিজ্ঞানের অনুষদের ডীন, সিন্ডিকেট সদস্য, সিনেট সদস্য, পরিকল্পনা উন্নয়ন কমিটির সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালযের (বর্তমানে ফাইন আর্টস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) এর গভরর্ণিং বডির সদস্য, রাজশাহী বঙ্গবন্ধু সাংগঠনিক কমিটির সদস্য, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সদস্য এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাাত শিক্ষা ও রসায়নবিদ প্রফেসর ড.কায়েস উদ্দিন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাাল রিসার্চ কাউন্সিলের সদস্য এবং পরবর্তীতে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ প্রাণ রসায়ন সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের সিনেট সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাজশাহী জেলা শাখার সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন সমাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সফল উপাচার্য প্রফেসর কায়েস বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১২টি নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকল্পে কারিকুলাম, খসড়া আইন প্রণয়ন এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির আহবায়ক, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সেলর তিন বছরের স্থলে চার বছরকরণ সংক্রান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বান্তবায়নের লক্ষ্যে, সরকার কর্তক গঠিত কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ইউনেস্কোর আনুকুল্যে তিনি চীনের গুয়াংঝুাক্যান্টন শহরে অনুষ্ঠিত`4th Intrenatinal Symposium on Anaerobic Digestion’’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ। ১৯৯৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর র্জানির হাইডেল বার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত `Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman & Emergence Bangladesh’’ শীর্ষক সেমিনারে ÔBangabandhu & Bangladesh’শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যা-, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, চীন, ভারত ও হংকং ভ্রমন করেন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে `Natural Products of Pharmaceutical Interest’, দেশী-বিদেশী বিজ্ঞান সাময়িকীতে তাঁর ৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৫৭ সালে বি.এস.সি পরীক্ষায় ডিস্টিংশনসহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করায় রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয় কর্তৃপক্ষ প্রফেসর কায়েস উদ্দিনকে স্বর্ণপদক প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি (বি.এ.এস) আয়োজিত নবম (১৯৮৪) ও দশম (১৯৮৫) জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে প্রাণ রসায়ণ, ফামের্সী, চিকিৎসা, পুষ্টি ও পশু চিকিৎিসা শাখার সভাপতি মনোনিত হোন। বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী ২০০১ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ‘বিজে অ্যাওয়াডর্’ ও সম্মনানা প্রদান করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ণ বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উৎসবে পরিষদ বাংলাদেশে প্রাণ রসায়ণ শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে সম্মাননা প্রদান করে। যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পি.এইচ.ডি গবেষণার জন্য ১৯৬১ সালে কমনওয়েল্থ স্কলারশীপ এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজিতে পোস্ট-ডক্টরেল গবেষণার জন্য ১৯৭৪ সালে কমনওয়েল্থ একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিফ লাভ করেন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড.মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}