বাংলাদেশের প্রথিতযশা বিচারপতি-এ.টি.এম ফজলে কবীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চামাগ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৭ সাল ১ জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত মজহারুল হক এবং মাতা প্রয়াত তৈবানুন নেসা। বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর চাকুরী জীবনে রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ এবং সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, খুলনা ও ঢাকা জেলার দায়রা জজ হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি শিক্ষা সফরে আমেরিকা ও ইংল্যা- ভ্রমন করেন এবং উভয় দেশের সুপ্রীম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতসমূহের বিচারপদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করেন। সরকার তাঁকে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। বিচারপতি হিসেবে তিনি হাইকোর্টে প্রচুর সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ২০১০ সালে সরকার তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক পদে নিয়োগ দেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত উভয় (১ ও ২) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় প্রদান করেন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দ-িত কাদের মোল্লার মৃত্যুদ-ের ঐতিহাসিক রায়ও তিনি প্রদান করেন। ২০১১ সালে তিনি ট্রাইব্যুনালের জজ হিসেবে ক্যাম্বোডিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং নেদারল্যা-ের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারী কোর্ট (আইসিসি, যুগোস্লোভিয়া ও লেবাননের ট্রাইব্যুনালসমূহ পরিদর্শন করেন। এয়াড়াও তিনি ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যা-, বেলজিয়াম, সুইডেন ও ফিনল্যা- ভ্রমন করেন। ২০১৪ সালে ১ জানুয়ারী তিনি বিচারপতির দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহণ করলে সরকার তাঁকে বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন এবং ২৩ জানুয়ারী থেকে অদ্যাবধি তিনি সেখানেই কর্মরত রয়েছেন। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}