‘এমদাদুল হক’ দেশের একজন প্রথিতযশা বিচারপতি। আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট’ এর মহাপরিচালক এবং অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান- ‘এমদাদুল হক’ ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোড়াপখিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বিচারপতি এমদাদুল হক শিক্ষাজীবনে ছিলেন মেধাবী ছাত্র। কৃতিত্বের সাথে কৃষ্ণগোবিন্দপুর হাই স্কুল থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ১৯৭২ সালে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে আইন বিষয়ে বি.জুর (অনার্স) এম.জুর ডিগ্রি অর্জনের পর এমদাদুল হক ১৯৭৮ সালে বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে জেলা জজ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বিচার বিভাগ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে চাকরিকালে মেধা, সততা ও দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ করা হলে তিনি ২০০৪ সালের ২৩ আগষ্ট এই পদের শপথ গ্রহণ করেন। বিচারপতি এমদাদুল হক হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকার্য ছাড়াও নবগঠিত জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসেবে ২০০৭-২০১৩ সালে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ২০২০ সালে তিনি অবসগ্রহণ করেন।
সম্প্রতি ২০২৪ সালে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট’ এর’ মহাপরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এছাড়াও তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আইন বিষয়ে একাধিক পুস্তক রচনা ও সম্পাদনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি নানাবিধ সমাজসেবামূলক কর্মকার্ন্ডে অংশগ্রহণ ছাড়াও সর্বস্তরের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা বিষয়ে পরামর্শ দান ও উৎসাহিত করার কারণে শিক্ষাঙ্গনে বিচারপতি হক একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব।
সমাজসেবী হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘোড়াপাখিয়া এলাকায় নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ১ম ও ২য় খণ্ড) লেখক- মাহবুবুল ইসলাম ইমন}