বাংলাদেশের প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী ও বঙ্কিম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড.সারোয়ার জাহান ১৯৪৩ সালের ২ মার্চ তৎকালীন মালদহ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের কিছু অংশ) জেলার কৃষ্ণপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত ডা.গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও মাতা প্রয়াত মমতাজ বেগম। প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী-রফিকুল আলম (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত শিল্পী) হলেন তাঁর ছোট ভাই। ছোট ভাই রফিকুল আলমের স্ত্রী হলেন দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী আবিদা সুলতানা।
১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগ পরবর্তী সময়ে তাঁর পিতা ডা.গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, দুই স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তানসহ পরিবারের সকলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া, রহনপুর এবং সবশেষে ড.সারোয়ার জাহানদের মাতুতালয়/নানীর বাড়ি অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে (স্থানান্তর হয়ে) স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
কর্মজীবনে প্রফেসর ড.সারোয়ার জাহান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ও ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৫ বছর বয়সে রাজশাহীর প্রখ্যাত ওস্তাদ আব্দুল জব্বারের নিকট মার্গ সঙ্গীতে তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভ্রাম্যমান শিল্পী গোষ্ঠীর পরিচালক এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত শিল্পী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখেন। সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রফেসর ড.সারোয়ার জাহান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজশাহী উত্তরণ শিল্পী গোষ্ঠী। রাজশাহীর গীতাঞ্জলী সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান গঠনেও তাঁর রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। এ প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী ও বঙ্কিম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড.সারোয়ার জাহান ২০০০ সালের ৩ মে মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক প্রফেসর সারোয়ার জাহানের স্ত্রী বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও নারী উদ্যোক্তা সালীমা সারোয়ার। সালীমা সারোয়ার বর্তমানে তাঁর রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভলপমেন্ট-এসিডি’ নামের উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। { অসমাপ্ত… / বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী) }