দল-মত নির্বিশেষে সকল গুণিজন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’। সাবেক রাষ্ট্রদূত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ৫ মে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিন মন্ডল সম্মেলন কক্ষে’ অনুষ্ঠিত হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাঁদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভা।
শীঘ্রই ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ www.alokito-chapainawabganj.com এবং ‘আলোকিত বৃহত্তর রাজশাহী’ www.alokitobrihottorrajshahi.com গ্রন্থ দুটি পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। সাথে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুল ইসলাম ইমন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশিষ্ট কূটনীতিক (সাবেক রাষ্ট্রদূত), বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ কামাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও
সমাজসেবী ডা. আনোয়ার জাহিদ রুবেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, বরেণ্য সংগীত শিল্পী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইফফাত আরা নার্গিসকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম ইমনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক পরিষদ গঠিত হয়।
আহ্বায়ক পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, যথাক্রমে ১. শাহনেওয়াজ গামা, সাংস্কৃতিক সংগঠক ২. প্রফেসর ডা. জাওয়াদুল হক, চিকিৎসক ও সমাজসেবী ৩. রফিক হাসান বাবলু, সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী ৪. এ্যাড. আবু হাসিব, আইনজীবী ও রাজনীতিক ৫. আব্দুল ওয়াহেদ, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক ৬. আনোয়ার হক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ৭. আনন্দ শঙ্কর রায় চৌধুরী, শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন গঠন ও প্রকাশনা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট ব্যক্তি-পরিবারের সাথে প্রথম পর্ব চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ধারাবাহিকভাবে রাজশাহীতে দ্বিতীয় পর্ব এবং ঢাকাতে এই মতবিনিময় সভার তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সকল সদস্যপদ উন্মুক্ত করা হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনারা আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন www.alokitochapainawabganjfoundation.com এর সদস্যপদ পেতে পারেন।
# আমাদের ভবিষৎ পরিকল্পনা: দুটি গ্রন্থ (আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ম ও ২য় খন্ড) প্রকাশ পরবর্তী পরিকল্পনা সমূহ- (১) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা/বৃহত্তর রাজশাহীভিত্তিক ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আম, কাঁসা, লাক্ষা, রেশম, কালাইরুটি, গম্ভীরা, আলকাপ-কবিগানসহ বিভিন্ন লোকজসংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ। (২) এই সমস্ত গুণি মানুষদের জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালন। (৩) প্রতিবছর ২০ জনকে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আলোকিত ব্যক্তিত্ব সম্মাননা পদক’ প্রদান। (৪) এই সমস্ত গুণি ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন রাস্তা, স্থাপনার নামকরণের উদ্যোগ গ্রহণ। (৫) এই সমস্ত গুণি ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদক (একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার ও বাংলা একাডেমী) পাবার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ। (৬) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, গম্ভীরা একাডেমী, চারুকলা মহাবিদ্যালয়, সংগীত মহাবিদ্যালয় প্রভৃতি যেসমস্ত কাজ হয়নি, অথচ জরুরি, বৃহত্তর স্বার্থে সেইসব প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে উদ্যোগী হবে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’। (৭) বৃহত্তর রাজশাহীভিত্তিক ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকাশের লক্ষ্যে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করবে। (৮) বৃহত্তর স্বার্থে, সরাসরি জনকল্যাণে ভূমিকা রাখবে এই প্রতিষ্ঠান। মূলত ৭০% চ্যারিটি/সেবামূলক কাজ করবে, ৩০% আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজ করবে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’।
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’
