বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা `তসলিম উদ্দিন’ ১৯৪২ সালের ১ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের রশিকনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত এসারউদ্দিন মন্ডল এবং মাতা প্রয়াত এরামন নেসা।
তসলিম উদ্দিন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করে ১৯৬৮ সালে রাণীহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে রাণীহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে শিক্ষকতা থেকে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৭ নং সেক্টরের চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহদীপুরের অধীন বিনোদপুর-খাসেরহাটে মুক্তিফৌজের জুনিয়ার কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষিয়ান রাজনীতিক ডা.মঈন উদ্দীন আহমেদ মন্টুর নেতৃত্বে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর-খাসেরহাট অঞ্চলের সম্মুখযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের বরেণ্য রাজনীতিক-ন্যাপ প্রধান ‘অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের’ তৎকালীন ‘দৈনিক নতুন বাংলা’ পত্রিকায় নবাবগঞ্জ মহকুমা প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। সেই সময়ে কিছুদিন দৈনিক সংবাদও কাজ করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক তসলিম উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিন সভাপতির (বিভিন্ন মেয়াদে তিনবার) দায়িত্ব পালন করেন। সুনাম এবং সাফল্যের সাথে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকতায় অবদান রেখে চলেছেন। বহু গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, প্রতিবেদন, অনুসন্ধানী সংবাদ তাঁর ঝুঁলিতে রয়েছে।
শুধু সাংবাদিকতা নয়, জড়িত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্যকর্মে। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ। ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধিত হয়েছেন। {অসমাপ্ত……/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী)}