বিশিষ্ট শিক্ষা-সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব, নারী জাগরণের অগ্রদূত, আলোকিত নারী ‘নীলুফার চৌধুরী’ ১৯৪৭ সালের ২ জুলাই তৎকালীন ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত হোসাম উদ্দিন বেগ ছিলেন বরিশাল বি.এল কলেজের স্বনামধন্য অধ্যাপক। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথিতযশা আলোকচিত্র শিল্পী-ফটোগ্রাফার ‘মঞ্জুর আলম বেগ’ এবং মাহমুদ আলম বেগ (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর) হলেন নীলুফার চৌধুরীর বড় ভাই।
নীলুফার চৌধুরী ১৯৬৫ সালে বিয়ে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের আবু মুসা চৌধুরীকে। আবু মুসা চৌধুরী ছিলেন শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। শুধুমাত্র শ্বশুরবাড়িই নয়, নীলুফার চৌধুরীর মাতুতালয়-নানীর বাড়িও এই শ্যামপুরে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন নারী কল্যাণে তথা সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। নীলুফার চৌধুরী শিবগঞ্জের শ্যামপুরে এ.কিউ.চৌধুরীর দানকৃত জমিতে নারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন `এ.কিউ.চৌধুরী নারী কল্যাণ শিক্ষালয়’। পরবর্তীতে তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিবগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার লাভ করেন তিনি। শিক্ষাকতা ও সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা, গল্প প্রভৃতি লিখে সুনাম অর্জন করেছেন। শ্যামপুর নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী, শিবগঞ্জ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সমিতির সভানেত্রী, নবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপদেষ্টা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য, শ্যামপুর নারী কল্যাণ গণকেন্দ্র পাঠাগারের সভানেত্রী, জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে নারী কল্যাণ তথা সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষা ও সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব নীলুফার চৌধুরী। {অসমাপ্ত…/বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষপ্তি জীবনী)}