আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

Share With

নতুন ধারার গবেষণাধর্মী-সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এর গঠনতন্ত্রনুযায়ী বর্তমান ও ভবিষৎ পরিকল্পনা (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য)

চলমান প্রকাশনা প্রকল্প-১ : প্রকাশিতব্য গবেষণাধর্মী-মৌলিক গ্রন্থ হিসেবে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ www.alokito-chapainawabganj.com (দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী)’ এর লেখক ও গবেষক মাহবুবুল ইসলাম ইমনের গ্রন্থস্বত্ব ও মেধাসত্ব ঠিক রেখে পর্যায়ক্রমে ১ম এবং ২য় খণ্ড দুইটি গ্রন্থ প্রকাশ (প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণ) (২) আলোকিত উৎসব (বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন ও ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, কৃতি-গুণীজন সমাবেশ (ঢাকা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ) (৩) আলোকিত উৎসব উপলক্ষে স্মরণিকা/ডাইরেক্টরি প্রকাশ। উল্লেখ্য যে, আমাদের প্রকাশনা প্রকল্পসহ সামগ্রিক কার্যক্রমে বিশিষ্ট ব্যক্তির ইতিবাচক দিকগুলোকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ব্যক্তির নেতিবাচকতার দায়ভার কোনমতেই লেখক-গবেষক কিংবা ফাউন্ডেশনের নয়। ব্যক্তির নেতিবাচকতার দায়ভার, যার যার, তার তার।

চলমান প্রকাশনা প্রকল্প-২ : প্রকাশিতব্য গবেষণাধর্মী-মৌলিক গ্রন্থ হিসেবে ‘আলোকিত বৃহত্তর রাজশাহী www.alokitobrihottorrajshahi.com (দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী)’ এর লেখক ও গবেষক মাহবুবুল ইসলাম ইমনের গ্রন্থস্বত্ব ও মেধাসত্ব ঠিক রেখে গ্রন্থ প্রকাশ (প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণ) (খ) কৃতি-গুণীজন সমাবেশ ও আলোকিত উৎসব (গ) আলোকিত উৎসব উপলক্ষে ডিরেক্টরি/ স্মরণিকা প্রকাশ। (ঢাকা ও রাজশাহী)। উল্লেখ্য যে, আমাদের প্রকাশনা প্রকল্পসহ সামগ্রিক কার্যক্রমে বিশিষ্ট ব্যক্তির ইতিবাচক দিকগুলোকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ব্যক্তির নেতিবাচকতার দায়ভার কোনমতেই লেখক-গবেষক কিংবা ফাউন্ডেশনের নয়। ব্যক্তির নেতিবাচকতার দায়ভার, যার যার, তার তার।

# ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ একটি ব্র্যান্ড, একটি নতুন ধারার মৌলিক (ইনোভেটিভ) প্রতিষ্ঠান। আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের গর্বিত সদস্যরা সবাইকে নিয়ে আমাদের একটি পরিবার। ফাউন্ডেশনের ভবিষৎ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, ট্রাস্ট গঠন ও ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের আগে/পরে নতুন ধারার গবেষণাধর্মী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে আলাদাভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জয়েণ্ট স্টোক থেকে ‘সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট (১৮৬০)’ আইনে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনকে নিবন্ধিত করতে হবে। তাহলে ইনকাম জেনেরেটিক, অর্থনেতিক ছোট-বড় সবধরনের প্রকল্প, কাজ করা যাবে। সারাদেশ ব্যাপি, জাতীয়ভাবে বড় কিছু করাও সম্ভব হবে। প্রয়োজনবোধে এনজিও ব্যুরো, সমাজসেবা, সমবায় অধিদপ্তর প্রভৃতি থেকেও বিভিন্ন প্রজেক্ট ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আরও নিবন্ধন করার সুযোগ থাকবে। পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ঐতিহাসিক গৌড় নগরীর অংশবিশেষ, পদ্মা-মহানন্দা নদী বিধৌত, সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার পার্শ্ববর্তী জাতীয় বৃক্ষ ‘আমগাছের’ সবুজে ঘেরা ঐতিহ্যবাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। বৃটিশবিরোধী নীলবিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন, গৌরবময় ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভ‚মি, বরেন্দ্রভূমির পটভূমি, ঐতিহ্যবাহী কাঁসা-পিতল, লাক্ষা-রেশম, নকশীকাঁথা শিল্প এবং জাতীয় পরিমÐলে স্বীকৃত আঞ্চলিক লোকজ-সংস্কৃতি গম্ভীরা, আলকাপ, কবিগানে সমৃদ্ধ এই জেলার রয়েছেন দেশে ও প্রবাসে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বহু কৃতী, আলোকিত, গুণীজন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সাল থেকে চলমান ব্যতিক্রমী প্রকাশনা প্রকল্প ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ এর মূল উদ্যোক্তা, গবেষক ও লেখক ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’ এর ‘গ্রন্থস্বত্ব ও মেধাস্বত্ব’ এর বিষয়টা প্রকাশিতব্য ৩টি গ্রন্থের জন্যই প্রযোজ্য ( (১) আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ম খণ্ড (২) আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২য় খণ্ড (৩) আলোকিত বৃহত্তর রাজশাহী)। এই গুলো তাঁর মৌলিক সৃষ্টি।

২০১৮ সালে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রকাশনা প্রকল্প কে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনে রুপান্তর ঘটানো- এইটি আরেকটি ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’ এর অনবদ্য সৃষ্টি। আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন (www.alokitochapainawabganjfoundation.com) এর বিষয়েও রয়েছে তাঁর ‘মেধাস্বত্ব’। ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’ এর গবেষণাধর্মী-মৌলিক কনসেপ্ট, গঠনতন্ত্র এবং সে অনুযায়ী আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন গঠন ও পরিচালনা। — এটা তাঁর ইনোভেট, উদ্ভাবনী, নতুন সৃষ্টি। তাছাড়া, প্রকাশনা প্রকল্প (বই প্রকাশসহ নানাবিধ আয়োজন) ও ফাউন্ডেশন (বহুমাত্রিক মহাকর্মযজ্ঞ) দু’টো আলাদা আলাদা বিষয়। প্রকল্প কিংবা ফাউন্ডেশন- সবগুলোর কনসেপ্ট তাঁর এবং কনসেপ্ট বাস্তবায়নও করেছেন তিনি। বিগত ১১-১২ বছর ধরে, অনলাইন/অফলাইন সবমিলিয়ে এসমস্ত কাজে রয়েছে তাঁর প্রচুর মেধা, মনন, সৃজনশীলতা, অর্থনৈতিক কন্ট্রিবিউট (প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা)। ঘর ও বাইরের (দু’শো বছর ইতিহাস গবেষণা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বৃহত্তর রাজশাহী-ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা) বিভিন্ন সৃজনশীল-গবেষণাধর্মী-মেধাভিত্তিক কাজগুলো করেছেন একলা হাতে। সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় সর্বজনীনভাবে (অসাম্প্রদায়িক ও অরাজনৈতিক) সমাজের শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে সদস্য করে গড়ে তুলেছেন ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’।

সোসাইটি কিংবা সমাজের মানুষকে অর্থাৎ গঠনতন্ত্রনুযায়ী ফাউন্ডেশনের অংশীজন হিসেবে কৃতীজন ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সদস্য করা হয়েছে। সমাজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মানুষদেরও সদস্য করা হচ্ছে। তাঁদের অর্থনৈতিক কন্ট্রিবিউটও রয়েছে। ফাউন্ডেশনের সকল গর্বিত সদস্যদের নাম, ছবি, পরিচিতি সম্বলিত ডিরেক্টরি (২ বছর পর পর) প্রকাশ হবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, উপদেষ্টা সদস্য, দাতা সদস্য, পৃষ্ঠপোষক কিংবা আজীবন সদস্য যে যেটা, সেটাই থেকে যাবেন। আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা/কি পারসন/মূল উদ্যোক্তা ‘মাহবুবুল ইসলাম ইমন’সহ যার যতটুকু ভূমিকা, অবদান ঠিক ততটুকুই থেকে যাবে। উল্লেখ্য যে, সদস্য সদস্যই। সকল সদস্যই কৃতীজন/বিশিষ্টজন কিংবা গুণীজন নয়। আগামীতে নানামুখী ফান্ডিং/ফান্ড রাইজিং/বাজেট সংগ্রহ কিংবা ইনভেস্টমেন্ট এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের ভবিষৎ পরিকল্পনাগুলো সম্মিলিত প্রয়াসে ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়িত হবে।

ফাউন্ডেশনের ভবিষৎ পরিকল্পনাসমূহ :
(১) মানুষ, মা, মাতৃভূমি এর প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁদের জন্য কাজ করতে পারা সবচেয়ে পবিত্র ও গর্বিত বিষয়। আঞ্চলিকতা/ইজম এক প্রকারের দেশপ্রেম। নিজ নিজ জেলা ও জেলার মানুষ-সংস্কৃতি-শেকড়কে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সমস্ত দেশের মাটি, মানুষ-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শেকড়ের প্রতি ভালোবাসা-প্রেম সুষ্ঠু বিকাশ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন, গবেষণাধর্মী, সৃজনশীল পরিকল্পনার ধারাবাহিক বাস্তবায়ন করাই আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন।
(২) আম, কাঁসা, লাক্ষা, রেশম, নকশীকাঁথা, কালাইরুটি, আদি চমচম, গম্ভীরা, আলকাপ-কবিগানসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (বৃহত্তর রাজশাহী) এর বিভিন্ন লোকজসংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রভৃতি নিয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ এবং জাতীয় পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং করা।
(৩) ‘আলোকিত উৎসব’ ও দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আলোকিত ব্যক্তিত্ব সম্মাননা পদক’ প্রদান। সকল সদস্যদের নাম-ছবি-পরিচিতি সম্বলিত ডাইরেক্টরী প্রকাশ (বিভিন্ন বিষয়ে নতুন/পুরাতন লেখকের লেখাসহ)
(৪) গুণীজনদের নামে বিভিন্ন রাস্তা, স্থাপনার নামকরণের উদ্যোগ গ্রহণ
(৫) গুণীজনদের রাষ্ট্রীয় পদক (একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার ও বাংলা একাডেমী) পাবার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ
(৬) নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট ও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
(৭) আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প/প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজ করবে আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন।
(৮) বৃহত্তর রাজশাহীভিত্তিক ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকাশের লক্ষ্যে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করবে। বৃহত্তর স্বার্থে, সরাসরি জনকল্যাণে নানামুখী চ্যারিটি-সেবামূলক কাজের মাধ্যমে অবদান রাখবে এই প্রতিষ্ঠান।
(৯) চাঁপাইনবাবগঞ্জ (বৃহত্তর রাজশাহী) জেলায় জাদুঘর, সংস্কৃতি কেন্দ্র (কালচারাল সেন্টার), আইটি পার্ক, বিভিন্ন শিল্প ইন্ডাস্ট্রি, কারিগরী বিশ্বদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয়, ইসলামী বিশ্বদ্যালয়, পাবলিক বিশ্বদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, আইন কলেজ, গম্ভীরা একাডেমী, চারুকলা মহাবিদ্যালয়, সংগীত মহাবিদ্যালয় প্রভৃতি যেসমস্ত কাজ হয়নি, অথচ জরুরি, বৃহত্তর স্বার্থে সেইসব প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে উদ্যোগী হবে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন’ www.alokitochapainawabganjfoundation.com

## শুভেচ্ছান্তে– মাহবুবুল ইসলাম ইমন, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফাউন্ডেশন