জহুর আহমদ চৌধুরী

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক, অবিভক্ত বাংলার চিফ হুইপ, তৎকালীন মালদহ জেলার মুসলমানদের শিরোমণি ‘জহুর আহমদ চৌধুরী’ ১৮৯০ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষার বিখ্যাত ‘জমিদার-চৌধুরী পরিবারে’ জন্মগ্রহণ করেন। মনাকষার খ্যাতনামা জমিদার ‘শাহ মোহাম্মদ চৌধুরী’ সাহেবের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ছিলেন ‘জহুর আহমদ চৌধুরী’। তাঁর মাতার নাম ইজ্জত-উন-নেসা চৌধুরী রাণী। শিবগঞ্জের মনাকষার প্রাইমারী স্কুলে পড়া শেষে মালদহ জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ভারতের উত্তর প্রদেশের `আলীগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে কৃতিত্বের সাথে বি.এ (অনার্স) পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল পাশ করে আইনজীবী হিসেবে মালদহ কোর্টে কিছুদিন প্র্যাকটিস করেন। এরপর তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
বর্ণাঢ্য এবং সফল রাজনৈতিক জীবনে মালদহ জেলার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন ‘জহুর আহমদ চৌধুরী’। পরপর দু’বার মালদহ জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আজীবন তিনি মালদহ জেলা মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৭ ও ১৯৪৪ সালের নির্বাচনে এম.এল.এ নির্বাচিত হন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক ‘শহীদ সোহরাওয়ার্দী’ ছিলেন তখন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোহরাওয়ার্দী সাহেবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি অবিভক্ত বাংলার চীফ হুইপের দায়িত্বও পালন করেন। শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ পুরো মালদহ জেলার অসংখ্য জনহিতকর কাজ তাঁর হাত দিয়েই সম্পাদিত হয়েছে। প্রখ্যাত রাজনীতিক ও সমাজসেবী ‘জহুর আহমদ চৌধুরী’ ১৯৪৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। { অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী) }