হোসাইন আব্দুল হাই

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’ জার্মানির খ্যাতিমান সাংবাদিক, এশিয়ান-ইউরোপিয়ান মিডিয়া নেটয়ার্ক (এমনেট) এর নির্বাহী পরিচালক ‘হোসাইন আব্দুল হাই’ ১৯৭৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের চৈতন্যপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এ্যাড.মো.সেরাজুল হক এবং মাতা মতিয়ারা বেগম। ২০০০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করেন তিনি।
২০০১ সালে জাতীয় পত্রিকা ‘ডেইলি স্টার’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিটিভি থেকে সম্মাননা পুরস্কার, ২০০৭ সালে দারিদ্র্য বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা ‘প্যানোস’ কর্তৃক পুরস্কার ও ফেলোশিপ অর্জন করেন ‘হোসাইন আব্দুল হাই’। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইউনিসেফ, কেয়ার, সিসিডি, প্যানোস এবং বিএনএনআরসি মতো বেশ কিছু উন্নয়ন সংস্থার সাথে কাজ করেছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জার্মানির ‘রেডিও ডয়চে ভেলে’ এর নন্দিত শব্দ শিল্পী, সাংবাদিক হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে সুনাম আর সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সংবাদের পাশাপাশি তাঁর নেশা কবিতা-গল্প লেখার। তাঁর লেখা গল্প, কবিতা ও সাংবাদিকের ডায়েরি জার্মানি থেকে প্রকাশিত ডয়েচে ভেলে, আওয়ার ভয়েস, ডয়েচে নিউজ, দেশ পত্রিকায়, ফ্রান্সের নবকণ্ঠ, ইটালির সময় নিউজ পত্রিকায়, ভারত-কলকাতার আজকের এষা’র (২০১৫) এবং বাংলাদেশের রাজশাহী, ঢাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহর থেকে প্রকাশিত সাময়িকী, সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৪ সালে জার্মানির বন-রাইন-জিগ ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয়বার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন ‘হোসাইন আব্দুল হাই’। ডয়চে ভেলে একাডেমী এবং বন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ এই স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর বিষয় ছিল ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম স্টাডিজ’। এই ডিগ্রীর অংশ হিসেবে মিয়ানমারের সাংবাদিকতা শিক্ষা বিষয়ে তাঁর গবেষণা পত্র ডয়চে ভেলে একাডেমীর জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। একই বিষয়ে বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি করছেন আব্দুল হাই। এছাড়াও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশী-ইউরোপীয় উন্নয়ন সংস্থা বাসুগ এর জার্মান শাখার প্রকল্প সমন্বয়কারী, এশিয়ান-ইউরোপিয়ান মিডিয়া নেটয়ার্ক (এমনেট) এর নির্বাহী পরিচালক এবং জার্মানি থেকে বাংলা, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় প্রকাশিত সংবাদ পোর্টাল ‘আওয়ার ভয়েস’ এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। {অসমাপ্ত…/ বিস্তারিত প্রকাশিতব্য মূল গ্রন্থ- ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ (চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী)}